নিস্তব্ধ চারিদিক, শব্দ করার সাহস টুকু নেই।
হাহাকার আর আর্তনাদ এখন এই শহরের এখন নিয়মিত ভাষা।
ঘরের বাহিরে ঘুরছে মৃত্যু রূপের জম।
সেই ভয়াল ৭১ ফিরে এসেছে৷ এই বাংলায়৷
মানুষের শিরায় উপশিরায় রক্তেত মতো বয়ে চলেছে ভয়ের স্রোত।
ঘড়ির কাটার টিকটক টিকটক শব্দ,আজ কর্কশ শোনায়।
এ যেন প্রতিদিন একটু একটু করে বেঁচে থাকা।
মৃত্যুর দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া।
সেই অপারেশন সার্চ লাইট ফিরে এসেছে
লাশের স্তুপ আর হত্যাই যেন তার একমাত্র নেশা।
করোনা নামের কুৎসিত হানাদার বাবাহিনীর বুট জুতোর তলে পিশে ফেলেছে আমার শহরের বুক।
তার, বুনো উল্লাসে চারিদিকে যখন কম্পিত
ঠিক সেই সময় শকুনের খামচে ধরা পতাকা বাঁচাতে এগিয়ে এলো কিছু দামাল মুক্তিবাহিনী।
হ্যা হ্যা…
ওরা লড়ছে
ওরা লড়বে৷
ওদের কে লড়তেই হবে।
আজ ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে
আজ পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে
আজ নার্সরা সেবা দিচ্ছে।
ঠিক বইয়ের পাতায় শুনে ছিলাম যে অমরত্বের কথা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমি এদের মধ্যে খুঁজে পায়
এই যুদ্ধে, রাজাকার ও আছে।
তাদের হলদে দাঁতের বিশ্রী হাসি মনে করে দেয় অসহায় মানুষের প্রাপ্য চাল, ডাল চুরির কথা। ওদের ক্ষমা নেই, ক্ষমা নেই।
মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করা দামাল ছেলেরা এই লাল সবুজ পতাকা রক্ষা করবে৷
একদিন লকডাউন উঠে যাবে।
স্কুল খুলবে, দোকান খুলবে
রাস্তায় শত শত মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়বে৷
ঠিক যেমনটা ঘটেছিলো ১৬ ডিসেম্বরে।
সেদিন আর মানুষের মৃত্যু ভয় থাকবে না।
আর আমি, সব কটা জানালা খুলে দিব।
সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ের গান গাইবো। আমাকে যে, গাইতেই হবে৷
ভয় ফিরে এসেছে ঠিকই, বিজয় ও একদিম আসবে৷ তাকে আসতেই হবে।
লেখাঃ শাওন কাদির জিকো
এমবিএ
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ